বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। জানা যায়, বুধবার (৭ আগস্ট) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতলে মিমি নামে দুই বছর ছয় মাস বয়সী এক শিশু চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
রোগীর স্বজন সবুজ জানান, বরিশাল নগরের হাসপাতাল রোডের হেলথ হ্যাভেন ডিজিটাল ডায়াগনস্টি সেন্টার থেকে ৬ আগস্ট ওই শিশুর ডেঙ্গু জ্বরের টেস্ট করান তারা। যে পরীক্ষার রিপোর্টে মিমির শরীরে ডেঙ্গুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এরপর রিপোর্টটি নিয়ে সন্দেহ হলে মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামক প্যাথলজিতে পুনরায় ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়। সেখানে ডেঙ্গুর লক্ষণ পাওয়া না গেলেও চিকিৎসক সার্বিক দিক বিবেচনা করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরামর্শ অনুযায়ী রাতেই তাকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এখনো তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, শুধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেই রোগীর জ্বর হবে এটা ঠিক নয়। তবে সন্দেহ হলে পরীক্ষা করানোটাই উত্তম। কিন্তু একই রোগীর ১ দিনের ব্যবধানে দুই ধরনের পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে এটা সম্ভব নয়। বিশেষ করে ডেঙ্গুর লক্ষণ পাওয়ার পরের দিনের রিপোর্ট বলছে ডেঙ্গু নেই। এটা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আবারও ভিন্ন কোনো জায়গা থেকে পরীক্ষা করানো উচিত।
‘এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে আসছে, তবে বাইরের প্যাথলজি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে। যাদের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত’, যোগ করেন তিনি।
এদিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
হাসপাতালের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন ৭৪ জন। যারমধ্যে পুরুষ ৪৫ জন, নারী ২০ জন ও শিশু ৯ জন রয়েছেন। অপরদিকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫৩ জন রোগী। হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ২৫৭ জন। বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংখ্যা ছিল ২৩৬ জন।
এর আগে ১৬ জুলাই থেকে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমে মোট ৫২০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বিদায় নিয়েছেন ২৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুই জনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএস/এইচএডি