বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় গত জুলাইয়ে চুরি আটটি, খুন তিনটি, অস্ত্র আইন পাঁচটি, ধর্ষণ তিনটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৮টি, নারী ও শিশু পাচার তিনটি, মাদকদ্রব্য ২৫৫টি এবং অন্যান্য আইনে ৭৫টিসহ মোট ৩৪০টি মামলা দায়ের হয়েছে।
খুলনা মহানগরে গত জুলাইয়ে রাহাজানি একটি, চুরি চারটি, খুন দু’টি, ধর্ষণ চারটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১২টি, নারী ও শিশু পাচার তিনটি, মাদকদ্রব্য ৯০টি এবং অন্যান্য আইনে ৩১টিসহ মোট ১৪৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। মহানগরে জুন ২০১৯ এ সংখ্যা ছিল ১৮৩টি। গত মাসের তুলনায় ৩৬টি মামলা হ্রাস পেয়েছে।
সভায় ডেঙ্গু রোগে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে জেলায় ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট কিনতে খুলনা সদর হাসপাতালের জন্য ১০ লাখ ও জেলার প্রতি উপজেলা হাসপাতালের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সরকার ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জন্য সরকারি হাসপাতালে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা বিনামূল্যে প্রদান করছে। এ পর্যন্ত খুলনা জেলায় ২৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। খুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনজন। তবে শনাক্ত হওয়া ডেঙ্গু রোগীর ৯৫ শতাংশ ঢাকা থেকে রোগাক্রান্ত হয়ে খুলনায় এসেছেন।
সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তাররোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে জাল টাকার বিস্তাররোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর রয়েছে। কোরবানি করা পশুর চামড়া যেন পাচার হতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন পুলিশ সুপার।
এসময় বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী স্থানীয় ঠিকানা ব্যবহার করে কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট না পায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেন এস এম শফিউল্লাহ।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/
