বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুনের কাছে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বাজিতপুর থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) সারোয়ার জাহান।
মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- স্বর্ণলতা বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, হেলপার লালন মিয়া, বাস মালিক আল মামুন, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া, বকুল মিয়া, বোরহান, আল আমিন ও স্বর্ণলতা বাসের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল।
এদের মধ্যে তিনজন আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- বোরহান, আল আমিন ও স্বর্ণলতা বাসের এমডি পারভেজ সরকার পাভেল। এদিকে, এজাহারভুক্ত আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার চার্জশিট পর্যালোচনায় দেখা যায়, বাসের চালক নুরুজ্জামান নুরু, তার খালাতো ভাই বোরহান ও বাসের হেলপার লালন মিয়া তানিয়া ধর্ষণ এবং হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাকে (তানিয়াকে) বাসের ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণের পর বাস থেকে ফেলে হত্যা করা হয়। মাথায় প্রচণ্ড আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। পরে তার (তানিয়ার) মরদেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। অন্য ছয় আসামি তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সহযোগিতা করেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার (এসপি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বাংলানিউজকে জানান, পলাতক বোরহান উদ্দিনসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে বাজিতপুর উপজেলার গজারিয়া এলাকায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন শাহিনুর আক্তার তানিয়া। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ছিলেন।
তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ