জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় এ বছর কোরবানির ইদে বিক্রির জন্য ৬১ হাজার ৩৯টি পশু রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৫৩ হাজার গরু আছে।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌলভীবাজারের হাওরাঞ্চলের মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। এ বছর ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এ ক্ষতি পুষিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখার জন্য হাওরপাড়ের প্রান্তিক কৃষকদের অনেকেই গড়ে তুলেছেন মৌসুমি গরুর খামার। কোরবানির ইদকে সামনে রেখে এপ্রিল-মে মাসে গরু কিনে তা পালন শুরু করেন। হাওরাঞ্চলে পর্যাপ্ত ঘাস ও খড় থাকায় অন্য কোনো খাবার খাওয়াতে হয়নি। ফলে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বেড়ে ওঠেছে এসব গরু।
রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও এলাকার গরু খামারি সৈয়দ সরফ আলী বাংলানিউজকে বলেন, হাওরে পর্যাপ্ত ঘাস থাকায় ও গরুর বিচরণ ভূমি থাকায় আমাদের গরুর খামার করা সহজ হয়। আমি ১৬টা গরুর একটি খামার করেছি। দু’এক দিনের মধ্যে সেগুলোকে হাটে নিয়ে যাব। এ বছর ভালো দামে গরু বিক্রি করে লাভবান হবো বলে আশাবাদী আমি।
একই উপজেলার বিলবাড়ি এলাকার রুবেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমরা ধান বিক্রিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তাই খুব বেশি মূলধন না থাকায় বেশি গরু কিনতে পারিনি। পাঁচটি গরু কোরবানিতে বিক্রির জন্য লালন-পালন করেছি। কয়েকটি ব্যাংকে লোন চেয়েছিলাম পাইনি। ঋণ সুবিধা পেলে বড় খামার করে বেশি লাভ করা সম্ভব ছিল।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, মৌলভীবাজার জেলায় কোরবানির গরুর চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা অনুযায়ী এ জেলায় গরু না থাকায় দেশের অন্য জেলা থেকে গরু এনে চাহিদা পূরণ করা হবে। তবে প্রতিবারের মতো এখানে স্থানীয় গরুর চাহিদা থাকায় হাওরাঞ্চলের খামারিসহ অন্য খামারিদের ভালো দাম পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় খামারিদের প্রকল্পের মাধ্যেমে সহযোগিতা করা হয়েছে, আগামীতে আরও প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এনটি