সরেজমিনে বৃহস্পতিবার(৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে অবস্থান করে দেখা গেছে, বৃষ্টিতে ভিজে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগের চিত্র। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস থাকায় পদ্মা নদী দুপুরের পর থেকে কিছুটা উত্তাল রয়েছে।
তবে শিমুলিয়া থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে পৌঁছাতে লঞ্চগুলোর সময় স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি লাগছে। লঞ্চের চালকেরা জানিয়েছেন, মাঝ পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোত থাকায় সময় বেশি লাগছে পদ্মা পার হতে।
লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় বেশি থাকায় ফেরির খোলা স্থান ও লঞ্চের উভয় পাশের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আসতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে ভিজতে হচ্ছে বৃষ্টিতে।
গোপালগঞ্জগামী যাত্রী শাহআলম বলেন, বৃষ্টির কারণে লঞ্চের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থেকে ভিজতে হয়েছে। এছাড়া ঘাটে নেমে বৃষ্টিতে ভিজে পরিবহন স্ট্যান্ডে যেতে হচ্ছে।
অপর এক যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকেই ছাতা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তুর বৃষ্টির দাপটে ভিজতে হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যাত্রায় বেশ ভোগান্তি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ঈদে যাত্রীচাপ মোকাবিলায় ৮৭টি লঞ্চ, ১৭টি ফেরি ও ২ শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় স্পিডবোটের পরিবর্তে লঞ্চ ও ফেরিতেই যাত্রীদের পার হতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি'র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, বৃষ্টি হলেও বাতাস না থাকায় পদ্মা শান্ত রয়েছে। লঞ্চে সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে।
ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ১৭টি ফেরি সকাল থেকে চলছে। পরিবহনের পাশাপাশি প্রচুর যাত্রী ফেরিতে পার হচ্ছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে প্রশাসনের চারস্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল সার্বক্ষণিক মনিটরিং রয়েছে ঘাট এলাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ