তবে, হাট কমিটি আশ্বস্ত করেছেন বিক্রেতাদের। তাদের মতে, অনেকের অফিস এখনও ছুটি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক পশুর হাট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশু রাখার জায়গায় পানি আসা আটকাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে। কেউ কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচতে তাবু তৈরি করছেন। অনেক বিক্রেতাই পশুর রাখার জায়গা বালু ফেলে উঁচু করছেন। একাজে তাদের সহযোগিতা করছেন হাট কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা।
গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে চারটি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন বাবু। তার সঙ্গে এসেছেন আরও ১০ পাইকার। তবে ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় হতাশ সবাই।
বাবু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এর আগে গাবতলী বা কমলাপুর পশুর হাটে গরু বিক্রি করেছি। এবার মিরপুর-১৪ নম্বরের হাটে এলেও বিক্রেতা নেই। বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গরু ঠিকমতো বসতে পারছে না। তাছাড়া মশার উপদ্রবও বেড়েছে। এতে পশু রাখা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বিল্লাল হোসেন নামে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমদিন কিছু ক্রেতা গরুর দরদাম করলেও গত দুই দিন ধরে কোনো ক্রেতা নেই। এ অবস্থা চলতে থাকলে বড় ধরনের লোকসানে পড়তে হবে।
তবে, জমজমাট বেচাকেনার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী হাট কমিটি।
হাটের ইজারাদার হামিদা এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা মাসুম বাংলানিউজকে বলেন, এখনো মানুষের অফিস চলছে। তাই, তারা বাজারমুখী হননি। অনেকের বাসায় জায়গা স্বল্পতার কারণে ঈদের আগের দিন গরু কিনবেন। আশা করি, শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল থেকেই বেচাকেনা জমে উঠবে।
তিনি বলেন, বাজারে কিছুটা পানি জমায় আমরা গরু রাখার স্থানে বালু সরবরাহ করছি। বাজারে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও র্যাবের উপস্থিতি আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
ইএআর/একে