বিমানবন্দর দুটি হচ্ছে- হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই বোর্ড স্থাপন করা হয় বলে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকায় বিমানবন্দরে এই ডিজিটাল বার্তা বোর্ডের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সাঈদ মেহবুব খান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকা ও সিলেটের দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত এই ডিজিটাল বার্তা বোর্ড বাংলাদেশ সফরে আসা ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য কনস্যুলার সহায়তা ও প্রয়োজনীয় উপদেশ, জরুরি হেল্পলাইন ৯৯৯ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন করবে।
ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, প্রতিবছর এক লাখেরও বেশি ব্রিটিশ বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। এই এক লাখ নাগরিকের অধিকাংশই কোন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া ছাড়াই বাংলাদেশ সফর করেন।
‘আমাদের কনস্যুলার টিম অনেক বিষয়েই ব্রিটিশ নাগরিকদের সহায়তা প্রদান করে থাকে। তবে এসব সহায়তার ধরণ প্রতিটি পরিস্থিতি ও সমস্যা ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। ’
এর পাশাপাশি বাংলাদেশে সফরে ইচ্ছুক ব্রিটিশ নাগরিকদের কমপ্রিহেন্সিভ ট্র্যাভেল ইন্স্যুরেন্স করার বিষয়ে উপদেশ দেন হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
বিমানবন্দরে ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য ডিজিটাল বার্তা বোর্ড স্থাপনের উদ্যোগটি ব্রিটিশ হাই কমিশনের কনস্যুলার সহায়তার একটি অংশ। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কনস্যুলার সহায়তার মধ্যে রয়েছে ব্রিটিশ নাগরিকদের জরুরি ভ্রমণের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সরবরাহ এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী পরিবার-পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহায়তা, জোরপূর্বক বিবাহের শিকার ব্রিটিশ নাগরিক কিংবা বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া বা আটক ব্রিটিশ নাগরিককে প্রয়োজনীয় সহায়তা এবং দুর্ঘটনা ও জরা-মৃত্যুজনিত কারণে শোকগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা দেওয়া।
বাংলাদেশ সফর বিষয়ক ভ্রমণ উপদেশ (ট্র্যাভেল অ্যাডভাইস) ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেতে ব্রিটিশ নাগরিকেরা ওয়েবসাইটে (https://www.gov.uk/world/bangladesh) ভিজিট করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
টিআর/এমএ