এরই মধ্যে নাড়ির টানে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে মানুষজন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে রৈবী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে কিছুটা ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. নাসির বাংলানিউজকে জানান, কারও জন্য ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে অপেক্ষা করবে না। সকালের দিকে প্রাইভেটকারগুলো সিরিয়াল না মেনে সমস্যা তৈরি করছিল। কিন্তু এরপর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এখন পর্যন্ত মোবাইলে কোনো ভিআইপি পরিচয় দিয়ে ফেরি পারের জন্য বলেনি কেউ।
দুপুর ১টার দিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারের অপেক্ষায় ৩৫০ গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ট্রাকের সংখ্যাই বেশি বলে জানান মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির বাংলানিউজকে জানান, আগের ঈদগুলোতে এক সপ্তাহ আগে থেকেই মোবাইল ফোনে কল আসে ও মেসেজ আসতে শুরু করে ‘কথিত’ ভিআইপিদের। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত কোনো ফোন কল আসেনি তাদের। বিগত ঈদে ভিআইপিদের নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় থাকতে হতো। কিন্তু এবার সিরিয়াল মেনেই গাড়ি ফেরিতে উঠে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে, কোনো ঝামেলা নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরিগুলো ঘাট থেকে গাড়ি বহন করে ছেড়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে চারটি রো রো সহ ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। একটি চ্যানেল দিয়েই ফেরি চলাচল করছে এবং কোনো ধরনের নাব্যতা সমস্যা নেই। তবে দু’টি চ্যানেল থাকলে সুবিধা বেশি হতো, এখন একটি চ্যানেল দিয়েই যাওয়া আসা করছে ফেরিগুলো। দুপুর সাড়ে ১২টায় আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় ফেরিসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের থেকে বেশি সময় নিয়ে ফেরিগুলো গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সিরিয়াল মেনেই গাড়িগুলো ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় ৩৫০ গাড়ি রয়েছে। তবে এর মধ্যে ট্রাক, প্রাইভেটকার ও বাসের সংখ্যাই বেশি আছে। ভিআইপি গাড়ি নিয়ে কোনো সমস্যা পোহাতে হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে যেসব গাড়িকে ভিআইপি সুবিধা দেওয়ার জন্য বলা হয়, তাদের নৌ-পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করে থাকেন।
বিআইডব্লিউটিএ-এর শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক সোলেমান বাংলানিউজকে জানান, সকাল থেকে পদ্মা নদীতে তীব্র ঢেউ আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল ১১টার দিকে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। লঞ্চঘাট ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বিকেলে এ চাপ আরও বাড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গেল কয়েকদিন ধরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছিল। সকালে ফেরির মাধ্যমে শুধু যাত্রী পারাপার করা হয়েছে। পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি ঘাটে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
**কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুট: বৃষ্টিতে দুর্ভোগ যাত্রীদের
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ