এছাড়া ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের দুটি তদন্ত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
জিআরপি থানায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গঠন করে দেওয়া তদন্ত কমিটির প্রধান এসপি সেহেলা পারভীন ওসির কক্ষে বসে থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। এ সময় সেখানে তদন্ত কমিটির অপর ৩ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পাশেই ডিউটি অফিসারের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, পাকশী রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রধান এএসপি ফিরোজ আহমেদও থানার পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। ওই কক্ষে তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্যও ছিলেন।
এসপি সেহেলা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, একজন নারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খুলনা জেলা কারাগারের গেটে অভিযোগকারী নারীকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছে কোথায় থেকে কিভাবে আটক করা হয়, থানায় কী ঘটেছিল-সেসব বিষয়সহ আরও বেশ কিছু জানতে চাওয়া হয়। তবে ওই নারী কী বলেছেন তা তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ওই দিন রাতে থানায় যাদের ডিউটি ছিল তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হলে ব্রিফিং করা হবে।
এএসপি ফিরোজ আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তারা কথা বলতে চান। সে জন্য তাদের জিআরপি থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে এক নারীকে (৩০) আটক করে খুলনার জিআরপি থানা পুলিশ। তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অভিযোগ দিয়ে ওই নারীকে আটক করা হয়।
পরে ওই রাতেই থানার হাজতে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়। পরদিন তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৪ আগস্ট ওই নারী খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া তাকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমআরএম/এমএ