বৃস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের বাঁধের উপর এ ঘটনা ঘটে।
আটক নুর আলম ও তাজনুর রহমান একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা আসামির চাচাতো ও মামাতো ভাই।
ওসি মেহেদী হাসান জানান, আসামি চিনু মিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র, হত্যা চেস্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। আদালত তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ারনা জারি করেছেন।
গোপন খবরে পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে চিনুকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার চিনুকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে করে থানায় আনার সময় বাঁধের উপরে সহযোগী ও তার স্বজনরা সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান নেয়। লাঠি-সোঠা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে অবস্থান নেয়া নারী-পুরুষরা এক পর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে চিনু মিয়াকে ছিনিয়ে নেয়।
এসময় আত্মরক্ষার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘটনাস্থল থেকে চিনুর সহযোগী নুর আলম ও তাজনুরকে আটক করা হয়। এছাড়া ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দু’টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। তবে হামলার ঘটনায় পুলিশের কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
তিনি আরো জানান, আসামি চিনুসহ ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ