ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলার ৯৩ পশুর হাটে বেচা-কেনা জমজমাট

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
ভোলার ৯৩ পশুর হাটে বেচা-কেনা জমজমাট

ভোলা: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ভোলার ৯৩টি স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট বেশ জমে উঠেছে। জেলার পশুর হাটগুলোতে দেশীয় গরুর চাহিদা অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম কিছুটা বাড়তি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এ বছর ভারতীয় গরুর আমদানি কিছুটা কম। আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরো বেশি কেনা-বেচা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গরু ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছে ১৬টি মেডিকেল টিম। হাটে চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

জেলার বড় হাটগুলোর মধ্যে ইলিশা, পরানগঞ্জ, গজারিয়া, ঘুইগারহাট, ভোলা গরুর হাট এবং বাংলাবাজার, লালমোহন ও চরপ্যাশনসহ বিভিন্ন হাটে বড়-মাঝারিসহ বিভিন্ন সাইজের পশু রয়েছে। ভারতীয় গরুর আমদানি কম। হাটে দেশীয় প্রজাতির গরুর চাহিদা অনেক বেশি। গরুর পাশাপাশি ছাগলের বেচা-বিক্রিও বেশ।

ভোলা সদরের গজারিয়া ও পরানগঞ্জ পশুরহাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশীয় গরু আর ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমনে জমজমাট হাট। এসব হাটে এক লাখ থেকে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত গরুর দাম উঠেছে। একই চিত্র অন্য হাটগুলোতেও।
 
গরু ব্যবসায়ী শাহে আলম, রফিক ও মোতাহার বলনে, হাটে কোনো চাঁদাবাজি নেই, তবে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন না থাকায় আমরা অনেকটা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি।  

ক্রেতা আবির হোসেন ও তোফাজ্জল হোসেন জানান, হাটে গরুর দাম কিছুটা চড়া। তবুও বাজেট অনুযায়ী ক্রেতারা গরু কিনছেন। দাম বেশি থাকলেও কেনা-বেচা ভালো হচ্ছে। দু’একদিন পরে দাম আরো কিছুটা কমতে পারে।

এদিকে হাটগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও পুলিশ কন্ট্রোলরুম খোলা হচ্ছে। বসানো হচ্ছে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, জেলার অনুমোদিত ৭৩টি হাটে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই প্রতিটি হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন করছি। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ২২টি হাটে পুলিশ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। চাদাঁবাজি ও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে সার্বক্ষণিক পুলিশের মনিটরিং রয়েছে।  

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের হিসাবে, জেলার সাত উপজেলায় সর্বমোট ৯৩টি পশুর হাট রয়েছে। যারমধ্যে ৫৬টি স্থায়ী এবং ৩৬টি অস্থায়ী।

জেলায় মোট পশুর চাহিদা এক লাখ ৫ হাজার থাকলেও মজুদ রয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৪২৭টি। মোট হাটের মধ্যে সদরে ১৫টি, দৌলতখানে ৬টি, বোরহানউদ্দিনে ১২টি, তজুমদ্দিনে ৫টি, লালমোহনে ২৬টি, চরফ্যাশনে ২২টি ও মনপুরা উপজেলায় ৭টি হাট রয়েছে।
 
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বাংলানিউজকে জানান, এ বছর ১৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। তবে এখন পর্যন্ত রোগাক্রান্ত বা মোটাতাজাকরণ গরু পাওয়া যায়নি। পশুর হাট জমে উঠেছে। কেনা-বেচা চলবে ১১ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।