বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার দোহার থেকে এই ছাগলটি গাবতলীর হাটে আনা হয় বিক্রির উদ্দেশ্যে।
হাটে ঢোকার মূল গেটের বাম পাশেই বেধে রাখা হয়েছে টাইগারকে।
টাইগারের মালিক অলি উল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, শখের বসে তিনি ছাগল পালন করেন। এই ছাগলটি তার বাড়িতেই জন্ম হয়েছে। নিজের সন্তানের মতো অনেক আদর যত্ন করে তিনি ছাগলটিকে লালন পালন করেছেন।
টাইগারের খাবারের তালিকায় রয়েছে, প্রতিদিন আধা কেজি আপেল, ১টি মালটা, ৪টি গমের আটার রুটি। এছাড়াও ভেজানো ছোলা, গম, চাল এবং পায়রা খাওয়ানো হয় নিয়মিত। ছাগলটির খাবারের পেছনে প্রতিদিন প্রায় দুইশত টাকা ব্যয় হয়।
ছাগলের নাম টাইগার কেন রাখলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অলি উল্লাহ বলেন, আমার ছেলে যখন ছোট ছিল, তখন সে এই ছাগলটিকে হাতে দিয়ে ইশারায় দেখিয়ে বার বার বলতো বাবা বাঘ, মা বাঘ। তাই ছেলের কথা অনুযায়ী আমরা ছাগলটিকে টাইগার বলা শুরু করি।
ছাগলটিও বর্তমানে বুঝে ফেলেছে তার নাম টাইগার। সে কারণেই তার মালিক টাইগার বলে ডাকতেই সেও মাথা উঁচু করে মালিকের মুখের কাছে তার মাথা তুলে ধরে প্রভু ভক্তির প্রমাণ দেয়।
গতবছরের কোরবানির ঈদেই টাইগারের দাম উঠেছিল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তবে এ দামে আদরের টাইগারকে বিক্রি করতে নারাজ মালিক। তাই বিক্রি না করে সেবার ফেরত নিয়ে যান। তবে এবছর দুই লাখের বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে টাইগারের মালিক আশা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘন্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
আরকেআর/এমএমএস