ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

৩০ চালানের পর ফেনসিডিলসহ র‌্যাবের হাতে ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
৩০ চালানের পর ফেনসিডিলসহ র‌্যাবের হাতে ধরা ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীবগঞ্জ এলাকার বাসীন্দা সুমন আলী (২৪) পেশায় অটোরিক্সা চালক। এর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে আসছিলেন তিনি।

সুমন মূলত মাদক চোরাচালানের বাহক হিসেবে কাজ করতেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকা থেকে বিভিন্ন মৌসুমি ফলের আড়ালে মাদকের চালান নিয়ে ঢাকায় আসতেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সফলভাবে মাদকের অন্তত ৩০ টি চালান পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) মিনি ট্রাকে করে ফেনসিডিলের চালান আনার সময় সুমন আলীসহ তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

আটক বাকিরা হলেন- আব্দুল মজিদ (২৪), ও মিঠু (২৬)। এ সময় মিনি ট্রাকের পাটাতনের উপরে বক্স থেকে ৭৯৭ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারসহ মিনি ট্রাকটি জব্দ করা হয়।

র্যাব-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় মিনি ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাসি করা হয়। এ সময় ট্রাকের পাটাতনের উপর বক্সে লোকানো ৭৯৭ বোতল ফেসিডিল উদ্ধাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, সুমন পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। এর আড়ালেই সে দীর্ঘদিন ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মাদকের চালান ঢাকায় পৌঁছানোর কাজ করছিলেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ী আজম ও শফিকের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন সুমন। জনৈক আজম ও শফিক মাদক সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন এবং সুমন সেই চালনগুলো ঢাকায় পৌঁছে দেন।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে চালান পৌঁছে দিতেন সুমন। এর আগে অন্তত ৩০ টির মাদকের চালান সফলভাবে ঢাকায় নিয়ে আসেন তিনি।

আটক মিঠু সুমনের সহযোগী। সে সুমনের অবর্তমানে একাও অনেকগুলো মাদকের চালান নিয়ে ঢাকায় এসেছে। এছাড়া, তিনি নিজে খুচরা মাদক বিক্রয় করতেন।

আটক মজিদ পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। তিনি প্রায় ৩ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সে নাম মাত্র ঢাকায় মালামাল পরিবহন করলেও তার মূল উদ্দেশ্য পণ্য পরিবহনের আড়ালে মাদকের চালান বহন করা।

এএসপি সালাউদ্দিন আরো বলেন, মজিদ চালানপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা এবং মিঠু ১০ হাজার টাকা পেতেন। আটক তিনজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
পিএম/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।