বন্দরে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি পণ্য খালাসকারী শ্রমিক ও পরিবহনকারী ট্রাক শ্রমিকদের মধ্যেও ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ঈদের আগে যেখানে তাদের সর্বোচ্চ একটা থেকে দুইটা চালান পরিবহনের কাজ পেতো, এখন তারা তার চাইতে বেশি পাচ্ছেন।
ব্যবসায়ী শাহানেওয়াজ জানান, আর ক’দিন বাদে ঈদ। তাই এখন কাজের চাপ বেশি। এতে বন্দরে ২৪ ঘণ্টা পণ্য খালাস হচ্ছে।
এবার ঈদের আগে ও পরে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে নয় দিন ছুটির মধ্যে পড়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা আগাম পণ্য খালাস করে রাখছেন। খালাস হওয়া পণ্যের মধ্যে বেশি রয়েছে শিল্প কারখানার কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব্য জাতীয় পণ্য।
রাজস্ব আহরণকারী বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাকিবুল হাসান বলেন, এবার ঈদে টানা বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকবে বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় অনেক ব্যবসায়ী আগাম পণ্য খালাস করছেন। গত তিন দিনে খালাস হওয়া আমদানি পণ্য থেকে প্রায় ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক মনির মজুমদার বলেন, ব্যবসায়ীদের দ্রুত পণ্য খালাস দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাস জানান, এখন পর্যন্ত সরকারি ছুটির কোনো নির্দেশনা পাননি তারা। আমদানি পণ্যের সরবরাহ সচল রাখতে বন্দরের কার্যক্রম সপ্তাহে ছয় দিনে ২৪ ঘণ্টা চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা চাইলে পণ্য খালাস করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএমএস