ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ভোররাতেই বরিশাল নদী বন্দরে ঘরমুখো মানুষের পদচারণা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
ভোররাতেই বরিশাল নদী বন্দরে ঘরমুখো মানুষের পদচারণা ছবি:বাংলানিউজ

বরিশাল: ত্যাগের মহিমায় পবিত্র ঈদ উল আযহা প্রিয়জনদের সাথে উদযাপন করতে রাজধানী থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। দক্ষিণাঞ্চল মুখী মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম লঞ্চগুলোতে স্বাভাবিক দিনের থেকে যাত্রী সংখ্যা খুব বেশিই ছিল।

নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) বিকেলে থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকা ত্যাগ করতে শুরু করে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নানান রুটে যাত্রীরা, যার মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রীই নৌপথে লঞ্চযোগে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

ধারাবাহিকতায় মধ্যরাত থেকে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চগুলো এসে পৌঁছালে বেড়ে যায় যাত্রীদের ভিড়।

নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষে তথ্যানুযায়ী শুক্রবার (০৯ আগস্ট) ভোররাত পৌনে ৩ টায় প্রথমে ঢাকা থেকে ঘরমুখো মানুষদের নিয়ে বরিশালে এসে পৌঁছায় এমভি মানামী লঞ্চটি। এরপর একে একে এমভি এ্যাডভেঞ্চার-১, ১১ পারাবত-৯, সুন্দরবন-১০, সুরভী-৮, কামাল-১, ফারহান-৮ নামের লঞ্চগুলো।

যদিও এরআগে এমভি সপ্তবর্ণা-৯, সুন্দরবন-২, বোগদাদীয়া-১২, রেডসান-৫, সম্পাসহ ভায়া রুটের ৫ টি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রী নামিয়ে পরবর্তী স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।

তবে সরাসরি রুটের লঞ্চগুলো বরিশাল নদী বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।

লঞ্চ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্টাফরা জানিয়েছেন, প্রতি বছরই স্পেশাল সার্ভিসে এমনটা হয়ে আসছে। যা এ রুটের যাত্রীরা অবগত রয়েছেন। আর নদী বন্দর ও ঘাটগুলোতে নামিয়ে যাওয়া যাত্রীদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে।

জিয়াউল হক নামে ঢাকা থেকে আগত এক লঞ্চযাত্রী জানান, যাত্রীদের ভিড় শুরু হলেও যতটা হওয়ার কথা থাকে এমন সময়ে তা হয়নি। তবে যে যাত্রী হয়েছে তাতেই কেবিনের বাহির বারান্দায়ও দাঁড়ানো যায়নি। আর ডেকেও ছিলো পর্যাপ্ত যাত্রী। উত্তাল মেঘনা পাড়ি দেয়ার সময় মনের ভেতর আতঙ্ক দেখা দিলেও ভালোভাবেই বরিশাল এসে পৌঁছেছি।

এদিকে যাত্রীদের নিরাপত্তায় বরিশাল নদী বন্দর এলাকায় মধ্যরাত থেকেই বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশ, মেট্রোপলিটনের কোতায়ালি মডেল থানা পুলিশ, বরিশাল সদর ও নৌ ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি পল্টুন ও আশপাশের এলাকা সাদা পোশাকে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন।

অপরদিকে বরিশাল নদী বন্দরের আশপাশের এলাকায় মধ্যরাত থেকেই বিভিন্ন ধরনের যাত্রীবাহি যানবাহন নিয়ে চালকরা অবস্থান নিয়েছে। স্বাভাবিকের থেকে ভাড়া বেশি হলেও যাত্রীরা অন্ধকার থাকতেই সেসব যানবাহনে চড়েই পরবর্তী গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এদিকে অভ্যন্তরীন রুটের লঞ্চগুলো ৫ টার পর থেকে যাত্রা শুরু করলেও সেগুলোতে যাত্রীরা গিয়ে অবস্থান নিয়েছেন।

পাশাপাশি মধ্যরাতে লঞ্চ থেকে নেমে হয়রানি রোধে পল্টুন ও নদী বন্দর ভবনের সামনে যাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা ও ছাউনি করা হয়েছে। একই সাথে বরিশাল সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। যে বাসগুলো লঞ্চে আসা যাত্রীদের নতুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩ ঘন্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এমএস /এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।