বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কাটাখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চিনু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের বিশ্বনাথ গ্রামের মৃত্যু নুরু ইসলামের ছেলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, গোপনে খবর আসে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আসামি চিনু ও তার সহযোগীরা কাটাখালি বাঁধ এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাবে। এজন্য পুলিশ সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়। রাত তিনটার দিকে চিনু ও তার সহযোগীরা কাটাখালি বাঁধ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকের চেষ্টা করে। এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান চিনু, তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি মেহেদী।
এর আগে, বুধবার (৭ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বিশ্বনাথ গ্রামের বাঁধের ওপর থেকে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়া পরা অবস্থায় ১৮ মামলার আসামি চিনুকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগী ও স্বজরা। চিনুর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, হত্যাচেষ্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাসহ ১৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
আরআইএস/