গত বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে ও বৃহস্পতিবার (৮ সকালে) মেঘনার প্রবল জোয়ারে উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্লাহ প্লাবিত হয়ে ওই মহিষগুলো ভেসে যায়। শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত ৩৫০টি মহিষ উদ্ধার হলেও এখনো ১৫০টি নিখোঁজ।
বাথান মালিক মো. নুর নবী ও আবুল কাশেম বাংলানিউজকে জানান, রামগতির মেঘনায় জেগে ওঠা চর আবদুল্লাহতে তারা গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মহিষ পালন করে আসছেন। তাদের বাথানে বিভিন্ন মালিকের প্রায় এক হাজার মহিষ রয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেখানে তারা মাটির কিল্লা (উচুঁ মাটির ভিটে) স্থাপন করেন। জোয়ার এলে চরের মহিষগুলো কিল্লাতে আশ্রয় নেয়।
কিন্তু বুধবার রাতে মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ার ও নদীর তীব্র ঢেউয়ে বাছুরসহ প্রায় ৫০০ মহিষ ভেসে যায়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত রামগতির বালুর চর, ঠুয়ারচর, বাংলাবাজার, আসলপাড়া, সেন্টারখাল, কালিরখাল থেকে স্থানীয় লোকজন ৩৫০টি মহিষ উদ্ধার করলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৫০ মহিষ। এসব মহিষ উদ্ধারে এখনো চেষ্টা চলছে।
রামগতি মহিষ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন মোল্লা বলেন, রামগতি থেকে বিচ্ছিন্ন দুর্গম ওই চরের বিভিন্ন বাথানে তিন হাজারেরও বেশি মহিষ পালন করা হয়। কিন্তু দুর্যোগে এসব মহিষ রক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেই। মহিষ মালিকরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে মাটির কিল্লা স্থাপন করেছেন। ওই মাটির কিল্লা যথেষ্ট নয়। এছাড়া অস্বাভাবিক জোয়ার এলে ওই কিল্লা ডুবে যায়। ভেসে যায় মহিষ। যে কারণে প্রতিবছর শত শত মহিষ জোয়ারে ভেসে নিখোঁজ হয়।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, মহিষ নিখোঁজ ও উদ্ধারের বিষয়ে তিনি খোঁজ-খবর রেখেছেন। চরে পাঁচটি মাটির কিল্লা স্থাপনের ব্যাপারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ থেকেও দুইটি কিল্লা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এসআর/এইচএ/