ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অভিযান চালিয়েও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পশুর হাট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
অভিযান চালিয়েও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ পশুর হাট

সাভার (ঢাকা): সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ পশুর হাট বন্ধ করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কয়েক দফা অভিযান চালালেও তা বন্ধ হচ্ছে না।

গত কয়েক দিন ধরে এই পশুর হাটটিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বন্ধ করতে অভিযান পরিচালনা করলেও তাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দফায় দফায় হাটটি বন্ধে অভিযানে গেলেও হাটে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে খুঁজে না পেয়ে সতর্ক করেই ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

জানা যায়, বিগত বছরগুলোতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এই হাটটি পৌরসভা কর্তৃক প্রায় কোটি টাকা মূল্যে ইজারা দেওয়া হলেও এ বছর জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় কোনো ইজারা ছাড়াই স্থানীয় এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় বর্তমান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান এই হাটটি পরিচালনা করছে। মাঝ থেকে ইজারা না হওয়ায় অন্তত অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সরেজমিনে সাভারের ওলাইলে মহাসড়কের পাশে অবৈধ পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দুইদিন আগে পশুর হাটটি বন্ধের জন্য হাটের বিভিন্ন স্থানে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হলেও সেই নোটিশ গুলোর ছিটেফোঁটাও চোখে পড়েনি। নোটিশ অমান্য করে হাট কর্তৃপক্ষের ভাড়া করা হাতে লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে থাকা অর্ধশত কিশোরের প্রটকল দিয়ে দেদারসে চলছে পশু বেচাকেনা।

এছাড়া পশুর হাটটি মহাসড়কের পাশে হওয়ায় পশুবাহী ট্রাক প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি করছে। শেষ খবর পাওয়া হাটটির কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জমুখী উলাইল থেকে হেমায়েতপুর ও ঢাকামুখী নবীনগর থেকে উলাইল পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

হাটের বৈধতা সম্পর্কে জানতে ইজারাদার সাইফুর রহমান সুমনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে হাটে থাকা সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হাটটি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নেওয়া হয়েছে। তবে ইজারার বৈধ কোনো কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।

বারবার অভিযানের পর হাটটি বন্ধ না হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) জেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই আমরা চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কয়েক দফায় হাটটি বন্ধে অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু আমরা যখনই অভিযানে যাচ্ছি, তখন দু’একজন শ্রমিক ছাড়া আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে বাধ্য হয়েই আমাদের সতর্ক করে ফিরে আসতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।