ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মাঝারি গরুর চাহিদা, দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতা

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
মাঝারি গরুর চাহিদা, দাম ছাড়ছেন না বিক্রেতা

বগুড়া: হাতে আছে আর মাত্র দু’দিন। এরপরই ঈদুল আজহা। বিগত কয়েকদিন ধরে এইতো আকাশ মেঘলা, বৃষ্টি। আবার পরক্ষণেই দেখা দেয় রোদের ঝিলিক। মেঘ-রোদের এ লুকোচুরির মধ্যেই বগুড়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। চলছে বেচাকেনা।  

হাতে আর সময় নেই। এই অল্প সময়ের মধ্যেই কোরবানির পশু কেনার কাজ সারতে হবে।

একটু দেখে-শুনেই কোরবানির পশু কিনতে চান ক্রেতারা। এখানকার হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি। তবে দাম ছাড়তে নারাজ বিক্রেতারা।

শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় অবস্থিত সুলতানগঞ্জ পশুর হাটে গিয়ে এমন দৃশ্য নজরে পড়ে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের। তারা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ধীরে ধীরে কোরবানির পশু আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি ভর্তি করে ও হেঁটে নিয়ে আসা পশুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে হাটের প্রায় পুরোস্থানই কোরবানির পশু দিয়ে ভরে যায়।

অন্যদিকে জুমার নামাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই ক্রেতারা হাটে আসতে শুরু করেন। মোটামুটি দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত হয়ে ওঠে সুলতানগঞ্জ কোরবানির পশুর হাট।

প্রধান ফটক দিয়ে হাটের ভেতরে প্রবেশ করে কিছু দূর যেতেই অসংখ্য গরুর মাঝে দেখা মিললো দু’টো বেশ বড় আকারের ষাঁড়ের। যেগুলোর মালিকরা দড়ি ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ষাঁড় দু’টো দেখতে ভিড় করছেন ক্রেতারাও। কেউ কেউ নেড়েচেড়ে দেখছিলেন। আবার কেউ কেউ দাম জানতে চাইছিলেন ষাঁড় মালিকদের কাছে।

কথা হয় ওই দুই ষাঁড়ের একটির মালিক আব্দুল হামিদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, তার ষাঁড়টির চাওয়া দাম দেড় লাখ টাকা। তবে এক লাখ ২০ হাজার টাকা হলে ছেড়ে দেবেন। কেউ এখনও দাম করেছেন কি না জানতে চাইলে আব্দুল হামিদ জানান, একজন ক্রেতা ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন।

আরেক ষাঁড়ের মালিক মজিবর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তার ষাঁড়ের চাওয়া দাম এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। তবে এক লাখ ১০ হাজার টাকা হলেই তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করে দেবেন। এ পর্যন্ত দু’জন ক্রেতা তার ষাঁড়ের দাম করেছেন। এরমধ্যে একজন ৭০ হাজার ও আরেকজন ৮০ হাজার টাকা বলেছেন।

বেলাল হোসেন ও ইয়াকুব আলী নামে দু’জন বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, হাটে আসা বেশিরভাগ ক্রেতার চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মাঝারি আকারের গরু। বড় ও বেশি দামের গরু কেনার মতো ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। তাই বড় আকারের গরুর মালিকরা একটু দেখেশুনেই তাদের পশুটি বিক্রি করতে চান।

মোজাম্মেল হক নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, হাটে প্রবেশ করার পরপরই তার মতো সাধারণ ক্রেতারা মাঝারি আকারের গরুর দিকেই ছুটে যান। হাটে আসা বেশির ভাগ ক্রেতারই বাজেট ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আবার অনেক ক্রেতাই ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির পশু কিনতে হাটের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ঘোরাঘুরি করছেন।

একই কথা জানিয়ে মোসলেম উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, মাঝারি আকারের গরুর প্রতি ক্রেতাদের বেশি ঝোঁক থাকায় বিক্রেতারা অনেকটা সুযোগ নিচ্ছেন। ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। ফলে কোরবানির পশু কিনতে ব্যাপক দরদাম করতে হচ্ছে। এক কথায় সাধ্যের মধ্যে পছন্দের কোরবানির পশু কিনতে ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এমবিএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।