শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ৩টায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ২৩ জনের মৃত্যু হলো।
মৃত শামিমের খালাতো ভাই জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (০৬ আগস্ট) ঠাণ্ডাজনিত কারণে শামিমকে ঢামেকের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাক-কান গলা বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে বুধবার (০৭ আগস্ট) ডেঙ্গু জ্বরের কারণে তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই আজ তার মৃত্যু হয়।
‘নাক-কান-গলা বিভাগে থাকা অবস্থায় তার জ্বর আসে। পরে সিবিসি পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা দেখতে পায় তার প্লাটিলেট ২৬ হাজার। পরে দ্রুত তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রেফার করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। ’
শামিমের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালেই এডিশ মশার কামড়ে শামিম ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
তবে ঢামেক হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে শামিম ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিল। পরে তার মৃত্যু হয়।
ওই সূত্র আরও জানায়, এখন পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালে মৃতের সংখ্যা ২৩। তবে, তাদের মৃত্যু ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে না অন্য কোনো কারণে তা পরীক্ষার জন্য নমুনা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর পর্যবেক্ষণ করে জানা যাবে আসলে সর্বমোট কতজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢামেকে আরও ৮৮ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৭১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এডিশ মশা যদি কামড় দেয় তাহলে রিঅ্যাকশন হতে পাঁচ থেকে ছয়দিন লাগে। শামিমকে ভর্তি করা হয়েছে গত বুধবারে। বৃহস্পতিবার তার জ্বর আসে। আর শুক্রবার সে মারা যায়। তাহলে আমি কীভাবে বুঝবো তাকে হাসপাতালে আসার পর এডিশ মশায় কামড়েছে। আর ঢামেকে যারা মারা গেছে আমরা তাদের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে পরে জানা যাবে আসলে কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ডেঙ্গু রোগীদের স্থানান্তরের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এজেডএস/এইচএডি