লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপুকুর ইউনিয়নের পাঠানটারী এলাকায় অফিল এগ্রো লিমিটেড নামে একটি খামারে ওজন করে বিক্রি হচ্ছে কোরবানির গরু।
খামারটির কর্মচারী ও স্থানীয়রা জানান, অনেকেই রয়েছেন যারা বছরে শুধুমাত্র কোরবানির ঈদেই গরু কিনে থাকেন।
ক্রেতারা তাদের পছন্দের গরুটি স্ক্রেলে পরিমাপ করেই দাম নির্ধারণ করছেন। সেক্ষেত্রে দামে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ নেই। এ খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের গরু রয়েছে। যার যত ওজনের গরু প্রয়োজন। তিনি তত ওজনের গরুই কিনতে পাবেন। এই খামারে সর্বনিম্ন ২শ’ থেকে সর্বোচ্চ ৪শ’ কেজি ওজনের গরু রয়েছে। তবে মাঝারি ওজনের গরুর চাহিদা অনেকটা বেশি। খামারটিতে মোট ২২৮টি গরু রয়েছে বিক্রিযোগ্য।
গাইবান্ধা থেকে এই খামারে গরু কিনতে আসা আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, হাট ঘুরে পশু ক্রয় করা বেশ ঝামেলার। এছাড়াও দালালদের দৌরাত্ম্যে কোরবানি পশুর হাটে যাওয়া দুষ্কর। খামারে পছন্দ করার পর ওজন করে দাম নির্ধারণের সুযোগ থাকায় প্রতারণার সুযোগ নেই। তাই তিনি গরু কিনতে এই খামারে চলে এসেছেন।
খামারটির স্টোর কাম সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের হাড্ডিসার গরু কিনে এই খামারে পালন করা হয়। এরপর ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা হয়। খামারে গরুর দেখাশোনা করতে শ্রমিক রয়েছেন ১৮/২০ জন। গরুর বাজার সম্পর্কে অনেকের ধারণা নেই। তাই গরু ওজন করে প্রতি কেজি ৩শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এখানে ক্রেতার প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরিবহন ভাড়া বুঝিয়ে দিলে গরু পিকআপভ্যানে করে পৌঁছে দেওয়া হয় ক্রেতার গন্তব্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
আরএ