বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরের পর থেকেই কাউন্টারে ভিড় বাড়তে শুরু করে। শেষ কর্মদিবসে অফিস করে শুরু হয়েছে তাদের যাত্রাপর্ব।
শনিবার (১০ আগস্ট) মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ময়মনসিংহ, শেরপুর, নওগা, বগুড়াগামী বাসের কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছেন যাত্রীরা। সবগুলো কাউন্টারেই যাত্রীদের ভিড়।
টার্মিনালে ঢুকতেই দীর্ঘ লাইন চোখে পড়লো এনা পরিবহনের (ঢাকা-ময়মনসিংহ) কাউন্টারে। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পেতে কিছুটা দেরি হলেও বাস ছাড়ছে নির্ধারিত সময়েই।
আলমাছ হোসেন নামে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী বাংলানিউজকে বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে অফিস থেকে বাসায় গিয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টার্মিনালে এসেছি। আধা ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েই টিকিট পেয়ে গেছি। নির্ধারিত ভাড়ায় টিকিট পেয়ে ভালোই লাগছে।
এনা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ লাইন হলেও সমস্যা নেই, পর্যাপ্ত টিকেট রয়েছে। প্রতি ১০ মিনিট পরপর বাস ছাড়ছে। রাত থেকে ভিড় কমে যাবে।
ঢাকা থেকে বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাতায়াতের ক্ষেত্রে (এসি/নন এসি) বেশ জনপ্রিয় টিআর ট্রাভেলস। গরমের কারণে এসি বাসের টিকিটের চাহিদা বেশি।
নওঁগার যাত্রী আমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চা নিয়ে রাতের ভ্রমণ কষ্টকর। তাই টিআর ট্রাভেলসে রওয়ানা হয়েছি। রাস্তায় যানজট না হলে ভোগান্তি হবে না আশা করি।
টিআর ট্রাভেলস পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার বাংলানিউজকে বলেন, গতবছরের চেয়ে এবার যাত্রীর চাপ অনেক বেশি।
টার্মিনালের ভেতরে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। এনা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড (ঢাকা-সিলেট-শ্রীমঙ্গল-মৌলভীবাজার, বিয়ানীবাজার) কাউন্টারের সামনেও ভিড় যাত্রীদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট, ১০, ২০১৯
এসই/একে