ঈদের একদিন আগে শনিবারও (১০ আগস্ট) এই মহাসড়ক দিয়ে স্বস্তিতে যাত্রা করছেন মানুষ।
ঈদের সময় প্রতি বছরই দেশের ঢাকা-টাঙ্গাইল-রংপুর, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চিত্র থাকে ভয়াবহ।
শনিবার যাত্রা পথে দেখা যায়, ২৩৮ কিলোমিটার এ মহাসড়কের কোথাও খানাখন্দ নেই। সুন্দর পিচঢালা পথে দ্রুতগতিতে ছুটছে বিভিন্ন গাড়ি। এ মহাসড়কের দুপাশের সবুজ প্রাকৃতিক দৃশ্য আকৃষ্ট করে যে কাউকেই। ফলে যাত্রীরাও আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন যাত্রাপথ।
দীর্ঘ এ পথ পাড়ি দিতে কোনো ক্লান্তি নেই যাত্রীদের। ৬ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে সিলেটে পৌঁছে যায় যাত্রীবাহী বাসগুলো। ঈদের সময় এ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসগুলোও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ নেই।
দেখা গেছে, দেশের অন্য যেকোনো গন্তব্যে যেতে কয়েক দিন আগে যুদ্ধ করে টিকিট কিনতে হয়। কিন্তু এ অঞ্চলে যেতে অগ্রিম টিকিট কাটতে হয় না। উপস্থিত সময়ে টিকিট কেটে যাত্রা করতে পারেন যেকেউ।
গ্রিন লাইন, লন্ডন এক্সপ্রেস, ইউনিক, হানিফ ও শ্যামলীসহ অনেক বিলাসবহুল বাস যাতায়াত করে এ রুটে। যেকোনো বাসেই উপস্থিত টিকিট কেটে যাওয়া যায়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদের সময় যানজট না থাকা ও গাড়ি কম থাকার অন্যতম কারণ সিলেট অঞ্চলের মানুষ ঢাকায় তেমন একটা থাকেন না। অল্প সংখ্যক লোক ঢাকায় চাকরির সুবাদে থাকেন। ফলে অন্য সময়ের তুলনায় ঈদে কম যানবাহন থাকে।
ইউনিক পরিবহনের যাত্রী আসলামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ মহাসড়কে যাত্রা সবসময়ই স্বস্তিদায়ক। তবে ঈদে আরেকটু বেশি স্বস্তিদায়ক।
ইউনিক পরিবহনের চালক সাদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, অন্য যেকোনো মহাসড়কের চেয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়ি চালানো স্বস্তিদায়ক। আগে শুধু নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়ায় যানজটে পড়তে হতো, এখন ভুলতা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ায় আরো সহজ হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
টিএম/জেডএস