সামর্থ্যবান মানুষ তাদের কেনা গরু, ছাগল ও অন্যান্য পশু কোরবানি, চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটাকাটিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজধানীর অলিগলি পশু জবাইয়ের পর মাংস বানানোয় ব্যস্ত।
ভোরে এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার পর সকালে ঝলমলে রোদে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই কোরবানি ও পশু কাটাকাটি করতে পারছেন রাজধানীর মানুষ।
কিছু জায়গায় পেশাজীবী কসাইরা গরু-ছাগল কাটাকাটি করলেও অধিকাংশ জায়গায় মৌসুমি কসাইরা এ কাজ করছেন। কেউ কেউ বাসাবাড়ির কার পার্কিংয়ের জায়গায় পশু কাটাকাটি করলেও অধিকাংশই রাস্তার পাশে খোলা স্থানে কোরবানির করছেন। সিটি করপোরেশন থেকে স্থান নির্ধারণ করে দিলেও তাতে কোনো সাড়া মেলেনি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, পিসিকালচার রোডসহ আশপাশের এলাকায় সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই পশু কোরবানি দেওয়া শুরু হয়। এছাড়া পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায়ও নামাজের পরপরই শুরু হয় পশু কোরবানি।
কোরবানি দেওয়ার জন্য আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্র ছুরি নিয়ে হাজির হন।
মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার ছয় নম্বর রোডে কথা হয় আদাবর মাদ্রাসার ছাত্র হাসান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি জানান, তিনিসহ তার বেশ কয়েকজন সহপাঠী এই রোডে পশু কোরবানি দিচ্ছেন। পশু কোরবানি বাবদ তাদের জন্য রয়েছে সম্মানি। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ মাদ্রাসার এতিম শিশুদের জন্য দেওয়া হবে।
কোরবানির নামাজ শেষে পশু কোরবানির পর চামড়া ছাড়ানো ও মাংস কাটাকাটিতে মৌসুমি কসাইরা যোগ দিয়েছেন বেশির ভাগ স্থানে। এদের মধ্যে রয়েছেন সিএনজি অটোচালক, রিকশাচালক, ড্রাইভারসহ শ্রমজীবী বিভিন্ন পেশার মানুষ।
আদাবর রোডে পশু কাটাকাটি করছেন সিএনজি অটোরিকশাচালক পটুয়াখালীর হেমায়েত উদ্দিন। তিনি জানান, যত সংখ্যক পশু কোরবানি হচ্ছে শুধু পেশাদার কসাইয়ের পক্ষে তা কাভার করা সম্ভব না। এজন্য তারাও পশু কাটাকাটি করছেন। এতে পশুর মালিকের সময় বাঁচানোর পাশাপাশি তাদেরও লাভ।
বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানির জন্য একেক রকম ফি নিচ্ছেন তারা। হেমায়ত বলেন, যা দেয় তাই লাভ। ঈদের দিন সকাল থেকে প্রায় সারা দিনই পশুর মাংস কাটাকাটিতে যাবে।
কোরবানির পশুর রক্ত ধুয়ে দিলেও তা গড়িয়ে রাজধানীর সড়ক দূষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে পশু কোরবানির পর যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সেজন্য বর্জ্যগুলো ব্যাগে ভরে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার পরামর্শ দেওয়া দিয়েছে সিটি করপোরেশন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ গণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ