সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই জবাইখানায় পশু নিয়ে আসেন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও বনানী ২৭ নম্বরের বাসিন্দা শাহজালাল ফিরোজ। এসে দেখেন তিনি ছাড়া আর কেউ পশু নিয়ে আসেননি এখানে।
এর আগে মহাখালী পশু জবাইখানায় নাগরিকদের পশু নিয়ে আসা উৎসাহিত করতে কসাইয়ের মূল্যের ওপর ২৫ শতাংশ মূল্যছাড় ও কাটা মাংস বিনামূল্যে নাগরিকদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেয় সিটি করপোরেশন। তবে এত অফারের পরেও মহাখালীতে নাগরিকদের আকর্ষণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
তবে মহাখালীতে ভালো সেবা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন শাহজালাল ফিরোজ। তিনি বলেন, এখানে দারুণ সেবা পাচ্ছি। মাত্র এক ঘণ্টায় আমার গরু ও ছাগল কাটা শেষ। সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে বাসায় মাংস দিয়ে আসবে বলেছিল। তবে আমি গাড়ি নিয়ে এসেছিলাম বলে সিটি করপোরেশনের গাড়ি নেইনি। শহরের সবার উচিত সিটি করপোরেশনের এসব নির্ধারিত স্থানে পশু নিয়ে আসা। এতে আমাদের পরিবেশ সুন্দর থাকবে। আমরা এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ দিয়ে যাচ্ছি। গুলশান বনানী এলাকার অভিজাত নাগরিকদের উচিত ছিল এখানে পশু নিয়ে আসা। কাউন্সিলররা আনতে পারতেন।
ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার পরেও মাত্র দু’টি পশু আসা নিয়েও অবশ্য ইতিবাচক ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মঞ্জুর হোসেন। তিনি বলেন, এটা অনেকদিন বন্ধ ছিল। আমরা খুব দ্রুত সময়ের নোটিশে এটা চালু করেছি। এ অবস্থায় যদি একজনও আসেন তাহলে সেটা ফেইলিওর না বরং পজিটিভ। এই উদ্যোগটাকে সংখ্যা দিয়ে বিবেচনা করা যাবে না। আজ একজন এসেছেন পরেরবার আরও বেশি আসবেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলররা কেন তাদের পশু অন্তত আনেননি এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, এখানে যে সবাইকেই পশু আনতে হবে বিষয়টি এমন না। আমাদের প্রধান টার্গেট ছিল আশপাশের লোকজনদের আনা। তবে এমন আধুনিক জবাইখানা যেহেতু একটি তাই সবার জন্যই উন্মুক্ত ছিল। আর প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে নির্ধারিত স্থান আছে। কাউন্সিলররা এমনকী মেয়র মহদয়ও তার ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এসএইচএস/এএ