ভোরে আকাশে সামান্য মেঘ থাকলেও রৌদ্রজ্জ্বোল হয়ে ওঠে সকাল। এর পর থেকেই চলছে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা।
হজরত শাহ্ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি-বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষ এক কাতারে শরিক হয়ে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন।
ঈদের নামাজের পর মহানগরীর মোড়ে মোড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন। বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন পশু কোরবানি নিয়ে।
এদিকে, ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবন, তালাইমারী কিউবিক চত্বর, ভদ্রা স্মৃতি অম্লান, সিএনবির মোড় বিমান চত্বর সুসজ্জিত করা হয়েছে।
ঈদের আগের দিন থেকে রাতে এ সড়কগুলিতে আলোকসজ্জা শোভা পাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রধান সড়কে জাতীয় পতাকা ছাড়াও ‘ঈদ মোবারক’ এবং ‘লা ইলাহা ইল্লাললাহ্’ খচিত রংবেরঙের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে। হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু সদন, শিশু নিবাস, সেফ হোম, ছোট মণি নিবাস, শিশুপল্লী ও এতিমখানাগুলোতে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। ঈদের জামাত আদায়কালে মহানগরজুড়ে র্যাব ও পুলিশ নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, আনন্দঘন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ-উল-আজহা উদযাপনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে ব্যাপারে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কোথাও কোনো অপরিচিত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে দেখা গেলে নিকটস্থ থানা অথবা পুলিশ ফাঁড়িকে জানানোর জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা নিয়ে যেনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। তবে শান্তি, সৌহার্দপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশেই ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এসএস/এএ