সোমবার (১২ আগস্ট) বরিশালের কয়েকটি বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
নগরের বিনোদনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই উন্মুক্ত ও প্রাকৃতিক পরিবেশে সমৃদ্ধ।
আবার নগরের বাইরে বাবুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাসাগর, উজিরপুরের বায়তুল আমান (গুঠিয়া) জামে মসজিদ, দোয়ারিকা-শিকারপুর সেতুসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ঘিরে বিনোদনমুখি মানুষের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া নগরের আমানতগঞ্জের শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্ক, নগরের বান্দরোড সংলগ্ন গ্রিন সিটি শিশু পার্ক, প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।
বিনোদনকেন্দ্র ছাড়াও প্রেক্ষাগৃহ, খাবারের দোকানসহ বিভিন্ন স্থান ও স্থাপনায় ঘুরে ঘুরে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে দেখা গেছে অনেককেই।
আর এসব বিনোদন স্পটের বেশিরভাগেই টিকিট কাটা, লাইনে দাঁড়ানোর কোনো ঝক্কি-ঝামেলা নেই। আবার খুদ্র ব্যবসায়ীদের কল্যাণে প্রতিটি বিনোদন স্পটেই অল্প টাকায় মিলছে বাহারি রকমের খাবার-দাবার।
শহীদ সুকান্ত বাবু শিশুপার্কে শিশু সন্তান সাওদাকে নিয়ে ঘুরতে আসা কামাল হোসেন বলেন, সারাদিন মাংস কাটাকাটির মধ্যে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেলে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হয়েছি।
এদিকে কীর্তনখোলা নদী তীরের মুক্তিযোদ্ধা পার্কসহ বিভিন্ন স্পটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরিবার-পরিজন ছাড়াও বন্ধু ও প্রিয়জনকে নিয়েও এসব জায়গাতে ঘুরতে এসেছেন অনেকে। নৌকা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে অনেকেই স্বজনদের নিয়ে কীর্তনখোলা নদীতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
মাহিনুর বেগম নামে এক কর্মজীবী নারী বলেন, ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্কের মধ্যে ঢাকা থেকে স্বামী-সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে এসেছি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতেই কীর্তনখোলার তীরে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/