মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জালাল নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জড়িয়াবর এলাকার জানিয়েল ফকিরের ছেলে।
যশোর ওজোপাডিকোর শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে খোলাডাঙ্গা এলাকায় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের নতুন একটি সংযোগ দিতে গিয়েছিলেন জালাল। ওই পোলে দু’টি ফিডার রয়েছে। সেখানে থাকা প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতে, তিনি পোলে উঠে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শুরু করতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে সেখানেই ঝুলে থাকেন। তার শরীর ঝলসে যায়। পরে সেখানে থাকা অন্য কর্মীরা তাকে নিচে নামিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল চত্বরে থাকা একাধিক ওজোপাডিকোর কর্মী বাংলানিউজকে জানান, কাজ করার আগে পাওয়ার হাউজ থেকে সেসব লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই লাইনম্যানরা পোলে ওঠেন। খোলাডাঙ্গায় কাজ করার সময় সেখানে একটি লাইনের সংযোগ বন্ধ থাকলেও অপরটি সচল ছিল। যে কারণে জালাল খুঁটির তার স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখানেই মারা যান।
এ প্রসঙ্গে ওজোপাডিকোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে কারও গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
ইউজি/আরবি/