মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেছে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর থানায় গিয়ে দেখা যায়, ডিউটি অফিসারের রুমে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আবোল-তাবোল বকছেন নারীটি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের ত্রিমোহনী বাজার জামে মসজিদের পেছনে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির ভাড়াটিয়া তারা মিয়ার শিশু কন্যার হাত ধরে টান দেয় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। এসময় শিশুটি চিৎকার দিলে বাসার লোকজন এসে তাকে ধাওয়া করে।
পরে ভাড়াটিয়া তারা মিয়া ওই নারীকে আটক করে ত্রিমোহনী বাজারের একটি দোকানের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে। এসময় প্রত্যক্ষদর্শীরা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ছেলেধরা আটক করা হয়েছে বলে পুলিশের সহায়তা চায়। খবর পেয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে উদ্ধার করে।
সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল রানা বাংলানিউজকে বলেন, ৯৯৯ থেকে জানানো হয় যে, ত্রিমোহনী এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। পরিচয় পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজার রহমান বাংলানিউজকে জানান, উদ্ধারকৃত নারীকে মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই মনে হচ্ছে। তাকে ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে বেঁধে পেটানোর কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, সমাজসেবা কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তার বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এফইএস/আরবি/