২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ ঘটনায় হওয়া মামলার রায় ঘোষণা হয়। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত।
পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের সময় ৩১ জন আসামিকে কারাগারে হাজির করা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছর পরেও নিহত চাঁদপুরের দুই পরিবার হামলাকারীদের রায় কার্যকর না হওয়ায় এখনো শোকাহত। তারা সরকারের কাছে মামলার রায়ের দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নিহত আতিক ও কুদ্দুসের পরিবারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কথা বলে জানা যায়, আতিক ঢাকায় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। নিহত হওয়ার পরে রেখে যান স্ত্রী ও চার সন্তান।
তার স্ত্রী লাইলি বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর কিছুদিন পর দলের পক্ষ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়। এরপর দীর্ঘ নয় বছর অতিকষ্টে কেটেছে আমাদের সংসার। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করে দিলে ১০ হাজার টাকা লভ্যাংশ দিয়ে চলছে সংসার। সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে আমার মেয়ে ও বড় ছেলের কর্মংস্থানের দাবিসহ স্বামীর হামলাকারীদের রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
অপরদিকে, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কুদ্দুস পাটোয়ারীর পরিবার এখনো শোকাহত। ছেলের হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে পারেননি তার মা আমেনা বেগম। তিনি ২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
কুদ্দুসের বড় ভাই হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর সবসময় খোঁজ-খবর রেখেছেন এবং সহায়তা করেছেন। আমরা ২১ আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এসআরএস