কোরবানির ঈদের পর ভাদর কাটানি শুরু হওয়ায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। তবে এ ভাদর কাটানির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
যারা মনে-প্রাণে বাঙালি রীতিনীতি ও প্রথা মেনে চলে, মানার চেষ্টা করেন তাদের নিয়মের ভেতরেই রয়েছে ভাদর কাটানি প্রথা। এসময় স্বামীর মুখ দর্শন করলে নাকি স্বামীর অমঙ্গল হয়। কেউ কেউ বলেন স্বামী নাকি অন্ধও হয়ে যেতে পারেন।
তাই এ প্রথা ও সংস্কার থেকে ভাদর কাটানি উৎসব চালু হয়েছে বলে জানালেন সৈয়দপুর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও কথা সাহিত্যিক হাফিজুর রহমান হাফিজ। তিনি বলেন, ভাদর কাটানি উৎসবের উৎস খুঁজতে পথে-প্রান্তরে বেড়িয়েছি। কিন্ত এর কোন ভিত্তি নেই। আগের লোকেরা এটা মেনে চলেছেন তাই এ যুগের নারীরাও প্রথাটি বজায় রেখেছেন।
ভাদ্র মাস আসার সঙ্গে সঙ্গেই গৃহবধূরা বাবার বাড়ি নাইওর যান। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করেন। এসময় ভালোমন্দ খাওয়া-দাওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অনেক নারীই স্বামীর মুখ দর্শন করেন না।
স্বামীর বাড়িতে কাজ করে নারীরা যেহেতু হাঁফিয়ে উঠেন, তাই একটুখানি আরাম-আয়েশের জন্যই প্রথাটি চালু রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
এই ভাদ্র মাসে নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলায় ভাদর কাটানির রেওয়াজের পাশাপাশি আরও একটি প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
এসব জেলায় খবর নিয়ে দেখা গেছে, প্রতিবছর ভাদ্র মাস শুরু হওয়ার আগে শ্রাবণে বিয়েরও ধুম পড়ে যায়। যা অনেকটা প্রতিযোগিতার মতোই। এরপর পুরো ভাদ্র মাসই বিয়ে বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
ইউবি/এসআরএস