বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহীদের ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল। তবে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের ছাড়পত্র পাওয়া তালিকার মধ্যে সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া ২৯৫টি পরিবারের কেউ যেতে আগ্রহ দেখায়নি।
রোহিঙ্গারা বলছে, নাগরিকত্বসহ তাদের প্রধান তিনটি দাবি পূরণ না হলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে না।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো রোহিঙ্গাকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। প্রত্যাবাসনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সাক্ষাৎকার গ্রহণও অব্যাহত থাকবে। এদের মধ্যে কেউ আগ্রহ দেখালে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম মৈত্রী সেতু দিয়ে ৩৭ পরিবারের ৩শ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়। মিয়ানমারও এসব রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়।
রোহিঙ্গাদের ট্রানজিট পয়েন্টে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাঁচটি বাস ও তাদের মালামাল পরিবহনের জন্য তিনটি ট্রাকের ব্যবস্থা রাখা হয়। এছাড়াও টেকনাফ শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য চীনা দূতাবাসের দুইজন ও মিয়ানমারের একজনসহ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা টেকনাফে অবস্থান করছেন। তবে রোহিঙ্গারা এখনও পর্যন্ত ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসনে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এসবি/এসি/টিসি