বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা নিউ মার্কেট বিজনেস ফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এর আগে একই অভিযোগে নিউ মার্কেটের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা নিউ মার্কেট বিজনেস ফোরামের সহ-সভাপতি মঞ্জুর আহমেদ মঞ্জু বলেন, ১৯৮০ সালে সিঅ্যান্ডবির কাছ থেকে আমরা এসব মার্কেটের পজিশন ক্রয় করেছি। এসব মার্কেটের দোকানের মালিকানা ব্যবসায়ীদের। পরে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রপতির এক আদেশে মার্কেটগুলো সিটি করপোরেশনের আওতায় আসে। প্রতি তিন বছর পর পর ব্যবসায়ী ও সিটি করপোরেশন মিলে ভাড়া পুনঃমূল্যায়নের কথা থাকলেও কোনো অ্যাসোসিয়েশন বা কোনো ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ হারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে যা অযৌক্তিক। আমরা সিটি করপোরেশনের এ ভাড়া নির্ধারণ মানি না। এ নিয়ে আমরা সিটি মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিঠি দিয়েছি কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। তাই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হই।
‘আমাদের প্রতিবেশি মার্কেটগুলোর মধ্যে প্রিয়াঙ্কা শপিং সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, হকার্স মার্কেট, চিশতিয়া মার্কেট, গাউছিয়া মার্কেটের দোকান ভাড়া প্রতি স্কয়ার ফিট ৬ থেকে ১৪ টাকা। অথচ আমাদের মালিকানাধীন দোকানের প্রতি স্কয়ার ফিট যেটা ১৮ টাকা ছিল তা ২৭ টাকা করা হয়েছে, ১৪ টাকারটা করা হয়েছে ২১ টাকা আর ১২ টাকারটা করা হয়েছে ১৮ টাকা। এর সঙ্গে নানা ট্যাক্স আছে, অন্য খরচ আছে। যদি ভাড়া বৃদ্ধির হার নির্ধারণ করতে হয় তবে তা কোনো অবস্থাতেই ৫ থেকে ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত না। অথচ এ ভাড়া কোনো আলোচনা ছাড়াই ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে, যা মানা যায় না। ’
তিনি আরও বলেন, আমাদের এসব মার্কেটে গত ১২ বছর ধরে কোনো সংস্কার করা হয়নি। আমাদের অনেক স্থানে টয়লেট নাই, কোনো কোনো স্থানে টয়লেট থাকলেও সেগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। আমরা সিটি করপোরেশনের কাছে ভাড়া পুনঃমূল্যায়নের আহ্বান জানাই। এর পরেও যদি সিটি করপোরেশন আমাদের কথা না শুনে তাহলে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা নিউ মার্কেট বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম সাগর, নিউ সুপার মার্কেটের সভাপতি রফিকুল ইসলাম স্বপন, ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাশেম, মাহবুব, ইস্কান্দার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
ইএআর/এইচএডি/