ফাহিমা উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বাউশমারী গ্রামের ফরহাদ আলীর মেয়ে। সে বাউশমারী ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের মামার শ্বশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফাহিমা এক সপ্তাহ আগে মামীর সঙ্গে সদর ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের মামার শ্বশুর গ্রাম পুলিশ জহির উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে জহির উদ্দিনের বাড়ি থেকে ফোনে ফরহাদ আলীর কাছে খবর আসে তার মেয়ে ফাহিমা অসুস্থ। খবর পেয়ে ফাহিমার বাবা, মামা হাফিজুর রহমান, মা মর্জিনাসহ অন্যারা গিয়ে বিছানায় তার মরদেহ দেখতে পান।
ফাহিমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মামার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের পক্ষে থেকে জানানো হলেও মামা হাফিজুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তার ভাগ্নির আত্মহত্যার প্রশ্নই আসে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে ফাহিমার মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এফইএস/ওএইচ/