জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু অল্পসময়ে জাতিকে আইনের শাসন উপহার দিয়েছিলেন, যেটা বিশ্বের কোনো ব্যক্তি দিতে পারেনি।
‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথেই হাঁটছেন। তিনি জাতির পিতার মতো শিক্ষা, আইনের শাসন, শিল্পায়ন নিশ্চিত করতে এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। যখন সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা ছিল তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর পথে থাকায় দেশের অর্থনীতি আরও বেশি গতি পায়। আমাদের জিডিপি ৮ শতাংশের ওপরে। আমাদের আয় বাড়লেও ধনী-দরিদ্রের মাঝে পার্থক্য বাড়েনি। গরিব-বিধবাদের মাঝে নানা ভাতা চালু করা হয়। আর এসব সফলতা আসে বঙ্গবন্ধুর দেখানো অর্থব্যবস্থার মধ্য থেকে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। জাতির পিতার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছিল এজন্য, যেন আর কেউ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে না পারে। দেশটা যেন আবার পরাধীনতায় আবদ্ধ হয়। কিন্তু ঘাতকদের সে আশা পূরণ হয়নি। সৌভাগ্য আমাদের, জাতির পিতার দুই কন্যা ঢাকার বাইরে ছিলেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা আবার দেশটাকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, দেশের প্রতিটা দলকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করতে হবে, কারণ বঙ্গবন্ধু ১৬ কোটি মানুষের। আজ সরকারি কর্মকর্তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে চান না, অথচ এ স্লোগান আমাদের বিজয়ের।
সালমান এফ রহমান সবাইকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার অনুরোধ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশেষ দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ কারী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী সংগঠনের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, মীর নাসির হোসেন, মাহবুবুর রহমান, এম এ কাশেম, কাজী আকরাম, মাতলুব আহমদসহ এফবিসিসিআইর সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
ইএআর/এইচএ