শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন বলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
একদিন আগে ঢাকায় একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য সম্মাননা’ জানানো হয়, সংবাদমাধ্যমে খবর আসে।
সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা ৬০ হাজার এবং অর্ধশত রোগী মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে সম্মাননার খবরে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি বিতর্ক অনুষ্ঠানে অন্য সবার সঙ্গে আমাকেও একটি স্মারক তুলে দেন আয়োজকরা। কিন্তু এটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। কোনো বিষয়কে আংশিক বা ভুলভাবে পরিবেশন করা দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। সব প্রতিষ্ঠান আন্তরিকভাবে কাজ করছে। আশা করি ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সফল হবো।
পরে মন্ত্রী হবিগঞ্জ পৌরসভা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের সভাপতিত্বে শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান, সংসদ সদস্য গাজী শাহনেওয়াজ মিলাদ প্রমুখ।
শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন এদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবেন। এ লক্ষ্যে শিক্ষা ও কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে যখন তিনি কাজ শুরু করছিলেন, তখন ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়।
এর আগে তিনি দুই কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার কিচেন মার্কেটের উদ্বোধন করেন। পরে হবিগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন চলমান কার্যক্রমের ওপর মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ