রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিজেপি সরকারের তৈরি এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন।
ভারতীয় মন্ত্রী ও গণমাধ্যমগুলো বলছে, বাদ পড়া ব্যক্তিরা বাংলাদেশি- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সতর্ক আছি। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
রোহিঙ্গা ও আসামের অবৈধ নাগরিকদের সাম্প্রতিক বিষয়ে বাংলাদেশ একটি ভূ-রাজনৈতিক গুটি হতে যাচ্ছে কি-না প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন অর্জনে-উন্নয়নে মিশে অনেকেরই ঈর্ষার কারণ। অনেকে বাংলাদেশকে সমীহ করে। ভূ-রাজনৈতিক বিষয় তো আছেই, জিয়ো-পলিটিক্যাল বিষয় আছে। এটা আগেও ছিল, এখন আরও বেশি হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ এখন সমীহ করার মতো একটি দেশ। বাংলাদেশের জিডিপি এখন দক্ষিণ এশিয়ার নাম্বার ওয়ান, আইএমএফ পর্যন্ত একথা স্বীকার করেছে। কাজেই এ দেশকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের বা যাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় আছে, তাদের চিন্তুা-ভাবনা থাকতেও পারে। আর ভূ-রাজনৈতিক বিষয়টিকে উপেক্ষা করারও কোনো কারণ নেই।
কাদের বলেন, আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছি না। আমরা শান্তির চেষ্টা করছি। যেকোনো সমস্যা ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ নীতির ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাইছি। তবে, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমরা সতর্ক আছি।
তিনি বলেন, আসাম আমাদের প্রতিবেশী। এনআরসি তাদের নিজেদের বিষয়। এখানে হিন্দুও আছে, মুসলমানও আছে। যতটা জেনেছি, হিন্দুরা ৬০ ভাগ, মুসলমানরা ৪০ ভাগ। পর্যবেক্ষণ করছি এ কারণে যে, এটা যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ আছে, উচ্চ আদালতে আপিল করার সুযোগ আছে। কাজেই বিষয়টি সম্পর্কে এ মুহূর্তে চূড়ান্ত মন্তব্য করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এমআইএইচ/একে