সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, সিচেলেসে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘অ্যাগ্রিমেন্ট অব লেবার কো-অপারেশন’।
‘সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাঁচার জন্য একটা অ্যাগ্রিমেন্টের প্রস্তাব করা হয়েছে। অনেক চেষ্টার পর তারা সম্মত হয়েছে। এই চুক্তির অনুমোদন মন্ত্রিসভা দিয়েছে। এই চুক্তি হলে আশা করা যাচ্ছে নিষেধাজ্ঞাটা উঠে যাবে। ’
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত অন্য প্রস্তাবটি হলো- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশন চলাকালে মানব ও শিশু পাচার প্রতিরোধ ও দমন ও এ সংক্রান্ত শাস্তি প্রদান বিষয়ক জাতিসংঘের প্রটোকলে যোগদান সংক্রান্ত 'ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস’ অনুস্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ‘ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস’ স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু এটা অনুস্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। এজন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী ৭২তম অধিবেশন চলাকালে স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয়, স্বাক্ষরকারী দেশের সংখ্যা ৭০টি। এরমধ্যে ২৫টি রাষ্ট্র অনুস্বাক্ষর করেছে, বাকিরাও পর্যায়ক্রমে করবে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে যেদিন ৭৪তম অধিবেশনে অনুস্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব যে আইন আছে ‘মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২’ এটা জাতিসংঘের আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে করা হয়েছে। আমাদের আশেপাশের দেশগুলো যেমন ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ ১৭৩টি মানব পাচার প্রতিরোধ প্রটোকলে যোগদান করেছে। আমাদের মন্ত্রিসভাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরাও সেখানে যোগদান করবো।
এছাড়া সোমবার থেকে ভারতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন দুরদর্শনের ডিটিএইচ প্ল্যাটফরম-ডিডি ফ্রি ডিশ-এর মাধ্যমে বিটিভির সম্প্রচার শুরু হয়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
জিসিজি/এমএ