সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সকালে আগারগাঁও সরকারি সংগীত কলেজের সামনের ডাম্পিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে রাখা হয়েছে পুরাতন, ভাঙাচোরা বহু যানবাহন। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেলে রাখা হয়েছে দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বেশ কিছু যানবাহন।
আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনের সড়ক পরিষ্কার করছিলেন ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নকর্মী শাহীন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমাদেরকে রাস্তায় জমে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। ডাম্পিং স্টেশনের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য আমাদেরকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
পথচারী ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের আগারগাঁও এলাকায় দুইটি ডাম্পিং স্টেশন আছে। আগারগাঁও সরকারি সংগীত কলেজের সামনে একটি। আর অপরটি শেরেবাংলানগর পুরাতন থানার জায়গায়। দেশে ডেঙ্গু আশঙ্কাজনকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও এখনো ডাম্পিং স্টেশন গুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এখান থেকেও এডিস মশার প্রজনন হতে পারে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি সংগীত কলেজের সামনে ডাম্পিং স্টেশন গত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আমি পরিষ্কার করতে দেখিনি। এখান থেকেও এডিস মশার জন্ম হতে পারে, ডেঙ্গু ছড়াতে পারে।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চিরুনি অভিযান চলমান। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকে সাব সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। যদি সেই সাব সেক্টরে ডাম্পিং স্টেশন গুলো পড়ে থাকে, তাহলে পরিষ্কার করা হবে। এখনো সব সাব সেক্টরের কাজ করা শেষ হয়নি। ডাম্পিং স্টেশন কোনো একটি সাব-সেক্টরে আছে। পর্যায়ক্রমে পরিষ্কার করা হবে।
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. এ এস এম আলমগীর বাংলানিউজকে বলেন, এনথ্রপলজির সার্ভেতে কোনো-না-কোনো ডাম্পিং স্টেশনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। ডাম্পিং হোক বা অন্য কোথাও স্বচ্ছ পানি জমলে সেখানে এডিস মশা ডিম পাড়বে। সেখানেই পাওয়া যাবে এডিস মশার লার্ভা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এমএমআই/এইচএডি