বন বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন বিভাগের ২০১৬ সাল থেকে নিজস্ব ল্যাব থাকলেও সেখানে নেই ফরেনসিক টেস্টের সক্ষমতা। বনবিভাগের ল্যাবে শুধু বন্যপ্রাণীর প্রজাতি নির্ণয় করা যায়।
এ বিষয়ে বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৬ থেকে বনবিভাগের নিজস্ব ল্যাব রয়েছে। তবে ল্যাবে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) সিকোয়েন্সিং এখনও ইনস্টটল করা হয়নি। ফলে এখানে কেমিক্যাল টেস্ট করা সম্ভব নয়, তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে বাঘের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সিআইডির ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টে পাঠানো হয়েছে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকন বাংলানিউজকে জানান, বন বিভাগের ল্যাবে বন্যপ্রাণী প্রজাতির নির্ধারণ করার কাজ করা হয়। গত ২১ আগস্ট সুন্দরবন থেকে যে বাঘটি উদ্ধার করা হয়েছে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তাই কোনো রাসায়নিক বা বিষ প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতেই সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সিআইডি থেকে রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বন্যপ্রাণী গবেষক নূরজাহান সরকার বাংলানিউজকে বলেন, উন্নত বিশ্বে বন্যপ্রাণীর জন্য বিশেষ ফরেনসিক ল্যাব থাকে এবং সেই ল্যাবে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ টেকনিশিয়ানরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। আমাদের দেশে সেই ব্যবস্থা নেই।
সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ছাপড়াখালীর থেকে গত ২১ আগস্ট এই বাঘিনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাঘটি লম্বায় লেজসহ ৭ দশমিক ৭৫ ফুট এবং উচ্চতা ৩ ফুট। বন্যপ্রাণী গবেষকরা ধারণা করছেন এটির আনুমানিক বয়স সাত থেকে আট বছর।
বন্যপ্রাণী গবেষক, বিশেষজ্ঞ ও ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার জন্য একটি আধুনিক বিশেষায়িত ফরেনসিক বন্যপ্রাণী ল্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বন্যপ্রাণী ফরেনসিক ল্যাবের প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি দেওয়া জরুরি বলেও বিশেষজ্ঞরা মতামত দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
আরকেআর/এএ