বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ডুহাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘনিমহেশপুর (খ্রিস্টান মিশনপাড়া) গ্রামের সিলপাটা ব্যবসায়ী বাবলু ঘোষের সঙ্গে প্রতিবেশী সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এর জের ধরে ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর সকালে অনিতা ঘোষ এবং লিলি বেগমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর মেম্বার বাশের লাঠি নিয়ে অনিতা ঘোষের মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ নভেম্বর ভোরে সাড়ে ৫টায় অনিতা রানী মারা যান।
এ ঘটনায় অনিতা ঘোষের স্বামী বাবলু ঘোষ বাদী হয়ে রুহিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী লিলি বেগমকে আসামি করে রুহিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
এদিকে, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার ভোরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ওসি (তদন্ত) বাবলু কুমার রায় বলেন, আসামি জাহাঙ্গীর মেম্বার ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তিনি ঘনঘন জায়গা ও মোবাইলের সিম পরিবর্তন করায় তাকে শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে তাক আটোয়ারী উপজেলার তোড়েয়া ইউনিয়নের ডুহাপাড়া গ্রামের অটোচালক আনিসুরের বাড়িতে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এনটি