বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শোক দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা জনতার সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ১৫ ও ২১ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী খুনি চক্র একই সূত্রে গাঁথা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
মোজাম্মেল হক বলেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জিয়া পরিবার জড়িত। ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। যারা সেদিন প্রকাশ্যে গুলি করেছিল তাদের বিচার করলে হবে না। সেদিন যারা পর্দার আড়ালে থেকে ষড়যন্ত্র করেছিল তাদেরও বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট কেন সারারাত মার্কিন দূতাবাস ও পাকিস্তানি দূতাবাস খোলা ছিল। পর্দার আড়ালে থেকে যারা ষড়যন্ত্র করেছেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সেদিনের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল তাদের মুখোশ খোলা হবে এবং সারা বিশ্বের কাছে সেটি তুলে ধরা হবে।
১৫ আগস্টের মত আরেকটি ঘটনা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঘটেছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াপুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করে পাকিস্তান থেকে আনা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। তবে তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। একুশে আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল।
তাই ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট ষড়যন্ত্র একই সূত্রে গাঁথা এবং এই দুটি ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জিয়া পরিবার জড়িত। এদের বিচার গণআদালতে হবে বলে মনে করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ফিরিয়ে আনতে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো।
সংগঠনের সভাপতি মো. ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ড. খান মো. আব্দুল মান্নান, মাহবুবুর রহমান, সাইফুল আলম, হাফিজ আহমেদ ও জি কে বাবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস