বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, উত্তর সিটি করপোরেশনে দ্রুততম সময়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধের জন্য ২০০টি ফগার মেশিন, ১৫০টি হস্তচালিত মেশিন এবং ৪০ হাজার লিটার (রেডি ফর ইউজ) কীটনাশক স্থানীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে বাজার দরে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কয়েক দেশ সফর করেছেন। তারা পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর যাবেন। সিঙ্গাপুরের একটি প্রকল্প আছে, মশাকে আকৃষ্ট করে তারা একত্রে মারে। তারা গর্ত করে সব মশা আকৃষ্ট করে সেখানে আনে, তখন সব মশা একসঙ্গে মারা হয়। আমাদের আগে মশা তাড়ানো হতো, তাই লাভ বেশি হয়নি। আমরা দেখছি মোটামুটি পরিবর্তন আসছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের ডেঙ্গু স্মরণকালের ভয়াবহতা দেখিয়েছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বিষয়টি জাতীয়ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। শুরুর দিকে সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকলেও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জন্য এ সংক্রান্ত প্রস্তাব না পাওয়ায় এবার শুধুমাত্র উত্তর সিটির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
উত্তর সিটি যেহেতু কিনছে, দক্ষিণেও হয়তো কিনবে। মশা মারার এ কার্যক্রম বছরব্যাপী চলবে। শীত বেশি হলে এতো মশা থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস