ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ঘাটের সময়সূচি অনুমোদনের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯
প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ঘাটের সময়সূচি অনুমোদনের অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে মিয়ারচর লঞ্চঘাটের মালিক সরদার মনিরুজ্জামান মনির। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: ঢাকা থেকে বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার নৌপথে প্রভাব খাটিয়ে একাধিক ঘাটের সময়সূচি অনুমোদনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ঘাট ইজারাদার ও মালিকদের পক্ষে মিয়ারচর লঞ্চঘাটের মালিক সরদার মনিরুজ্জামান মনির।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার, ঢাকা-টরকি, ঢাকা-সূর্যমনি, ঢাকা-মাদারীপুর, ঢাকা-মুলাদী নৌপথে বিভিন্ন কোম্পানির ১৮টি লঞ্চের সময়সূচি অনুমোদন নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত যাত্রীসেবা দিচ্ছে।

কিন্তু হঠাৎ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজসে বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) গোলাম কিবরিয়া টিপুর মালিকানাধীন মেসার্স ফারহান নেভিগেশন ও মেসার্স আগরপুর নেভিগেশন কোম্পানিকে অনিয়মের মাধ্যমে গত ৮ আগস্ট সময়সূচী অনুমোদন দেওয়া হয়। যেখানে ঢাকা থেকে বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার নৌপথে মধ্যে সৃষ্টি ঢাকা থেকে নবাবেরহাট নামে ও সিমসন ঘাট এবং ঢাকা থেকে চরলক্ষ্মীপুর সিকদারবাড়ি ঘাটের সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর ফলে ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার নৌপথের এবং আশেপাশের বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অনুমোদিত এবং পুরনো ঘাটগুলোর ইজারাদার ও ঘাট মালিকরা মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে শুরু করেছে। বর্তমানে এসব ঘাটেগুলোতে উত্তেজনাসহ জানমালের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এতে সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে। এছাড়া ঢাকা-বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার ও ঢাকা থেকে টরকি নৌপথের লঞ্চ কোম্পানিগুলো সর্বাধিক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল ভায়া নন্দীরবাজার নৌপথে মেসার্স ডলার শিপিং লাইন্স ও মেসার্স ই-আলী শিপিং লাইন্স কোম্পানির সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ’র  আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এ সুযোগে প্রতারণার মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক অনুমোদিত ঘাটের প্রকৃত নাম বাদ দিয়ে ছদ্মনাম ব্যবহার করে এমপি টিপুর কোম্পানিকে নৌপথে সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মিয়ারচর লঞ্চঘাটের মালিক মনির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নৌপথে নতুন কোনো লঞ্চ কোম্পানিকে সময়সূচি অনুমোদন দিতে হলে বিআইডব্লিউটিএ-এর নির্ধারিত কিছু নিয়ম অনুসরণ করে এবং লঞ্চ মালিক সমিতির মতামত নিয়ে দিতে হয়। কিন্তু এমপি টিপুর কোম্পানির বেলায় তা করা হয়নি।
 
এ ব্যাপারে এমপি টিপু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি বিআইডব্লিউটিএর সব নিয়ম মেনে লঞ্চঘাট গুলো পরিচালনা করছেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে এমপি টিপু বলেন, সরদার মনির আমার কাছে একটি লঞ্চ ভাড়া নিতে এসেছিলো। না দেওয়ার কারণে ষড়যন্ত্র করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।