বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমাইয়া মারা যান।
জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের পর পারিবারিকভাবে আড়াই বছর আগে সলিয়াবাকপুর গ্রামের পিন্টু হাওলাদারের পুত্র মাসুদ হাওলাদারের সঙ্গে চাখার গ্রামের হাবিবুর রহমান মেকারের কন্যা সুমাইয়ার বিয়ে হয়।
সুমাইয়ার স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অকারণে সুমাইয়াকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করছিল।
সুমাইয়ার নানা মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে জানান, গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে (মোহাম্মদ আলী) সুমাইয়ার শ্বশুর ফোন করে জানান- তার নাতনি কীটনাশক জাতীয় কিছু পান করেছেন।
খবর পেয়ে সুমাইয়ার শ্বশুর বাড়িতে রওয়ানা হন মোহাম্মদ আলী। পথিমধ্যে দেখতে পান অচেতন অবস্থায় ভ্যান গাড়িতে করে তার নাতনিকে বানারীপাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুমাইয়াকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৪টার দিকে মারা যান সুমাইয়া।
এ বিষয়ে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনো কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএস/এইচএ/