খুকনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দি থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীঘদিন ধরেই নদীভাঙন অব্যাহত রয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে এনায়েতপুর তাঁত কাপড়ের হাট, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়, আঞ্চলিক সড়কসহ প্রায় ২৫ হাজারের মতো তাঁত কারখানা।
জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় দু’বছর ধরে জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে এ ইউনিয়নের অধিকাংশ মৌজাই নদীগর্ভে চলে গেছে। তীরবর্তী দু’একটি মৌজা রয়েছে, সেগুলোও ভাঙনের মুখে রয়েছে।
গত তিনদিন ধরে জালালপুর, বাঐখোলা, ভেঁকা, ঘাটাবাড়ী ও পাকড়তলা এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঐখোলা সরকারি প্রাথিমক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে বাঐখোলা মসজিদ। এছাড়াও তিনদিনে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, ওই এলাকায় ভাঙনরোধে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বালিভর্তি বস্তা ডাম্পিং করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া সাড়ে ৬ কিলোমিটার যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় ৬৯০ কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে এ এলাকার ভাঙনরোধ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসআরএস