বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ থানা এলাকার মধ্য বাসাবো থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মশিউরের নামে প্রতারণাসহ চেক জালিয়াতির অন্তত ৩০টি মামলা রয়েছে।
ডিবি পূর্ব বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহিদুর রহমান রিপন বাংলানিউজকে বলেন, মশিউর পেশাগতভাবেই একজন প্রতারক। তিনি নিজেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গ্রুপের মালিক বলে পরিচয় দিতেন। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিলাসবহুল অফিস নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিতেন, এরপর জায়গা বদলে আবার অন্য কোথাও ভিন্ন নামে অফিস নিতেন। শুরু করতেন নতুন পন্থায় প্রতারণা।
‘গত কয়েক বছরে বসুন্ধরা গ্রুপ, এলজি, বেঙ্গল, ওয়ালটনসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন মশিউর রহমান। তার বিরুদ্ধে ব্যক্তি পর্যায়ে সেনা-বিমান বাহিনীর তিনজন কর্মকর্তার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ’
ডিবির এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সবশেষ অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতারক মশিউর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আরও অনেকেই হয়তো অভিযোগ নিয়ে আসবেন।
আদালত মশিউরের দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
পিএম/একে