বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আঁখি। এর আগে সন্ধ্যায় গুরুতর অবস্থায় আঁখিকে পার্শ্ববর্তী বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নিহত আঁখি মনি জেলার বিরল উপজেলার মাহাতাবপুর মঙ্গলপুর গ্রামের আব্বাস আলীর মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহত আঁখির বাবা আব্বাস আলী বাদী হয়ে কাহারোল থানায় আঁখির শ্বশুর এনামুল হক, শাশুড়ি আনজু আরা ও স্বামী রজমান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে আব্বাস আলী উল্লেখ্য করেন, বেশ কিছুদিন ধরে তার মেয়ের জামাই কাহারোল উপজেলার বাইজপুর লোহারগাঁও গ্রামের এনামুল হকের ছেলে রমজান আলী ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য আঁখিকে নির্যাতন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে যৌতুকের জন্য আঁখির শাশুড়ি আনজু আরা, শ্বশুর এনামুল হক ও স্বামী রমজান আলী তাকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আঁখির মুখে বিষ ঢেলে দেয় এবং আশপাশে প্রচার করে পেটের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে সে বিষ খেয়েছে।
পরে জামাই রমজান আলী আমাকে সন্ধ্যায় জানায় আঁখি বিষ খেয়েছে এবং বোচাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা সেখান গিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, আঁখির পেট থেকে বিষ বের করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ১১টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
আব্বাস আলী বলেন, জামাই রমজান এর আগেও ২টি বিয়ে করেছে এবং তাদের সঙ্গে তালাক হয়ে গেছে। আমার মেয়েকে ২ বছর আগে রমজান ঢাকায় বড় চাকরি করে বলে প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। জামাই রমজান ইতোপূর্বে যৌতুকের জন্য আঁখি অনেকবার নির্যাতন করেছে।
কাহারোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে কোনো এজাহার আমার কাছে আসেনি। তবে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ