শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরের গোলাহাট মহল্লায় ওই নেতার বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে।
সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপি হিটলার চৌধুরী ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।
জানা যায়, হিটলার চৌধুরী ভলুর শহরে দুইটি বাড়ি। পাওয়ার হাউস এলাকায় একটি ও গোলাহাট মহল্লায় আরেকটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) বাংলানিউজকে জানায়, তার বাবার কাজের জন্য রাখা দুই কেয়ারটেকার জীবন (২১) ও রাজা (১৭) গভীর রাতে এসে ডাকাডাকি করলে মা দরজা খুলে দেয়। সে সময় বাবা পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলেন। ঘরে ঢুকে কেয়ারটেকার দুইজন হঠাৎ চাকু বের করে আম্মুর গলা কাটতে থাকে। আম্মু বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আম্মুর হাতও ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায়। এ সময় আমি ও আম্মু চিৎকার করতে থাকলে জীবন ও রাজা পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানায়, জীবন গোলাহাট মহল্লার মহম্মদ মুন্না এবং রাজা একই এলাকার মৃত সাগির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর তাদের এলাকায় আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার সবাই জীবন ও রাজাকে ভলু চৌধুরীর বিশ্বস্ত বলে জানায়। তারা বাড়ির ছেলের মতোই থাকতো। কিন্তু তারা যে এতো ভয়ঙ্কর হতে পারে মহল্লাবাসী তা ভাবতেই পারেনি।
এ ব্যাপারে আওয়ামী নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু বলেন, ঘটনার সময় আমি পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলাম। খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে এসে স্ত্রীকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, যে ছেলে দু’টো এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আমার সঙ্গেই থাকে। কেন বা কি কারণে তারা এমনটা ঘটালো বুঝতে পারছিনা। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করবো।
সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত ফিরোজ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জীবনের বাবা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ