এদিকে অভিযোগ উঠেছে শিশুটির বাবা বদিউজ্জামান তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ৭ বছর আগে তাঁত শ্রমিক বদিউজ্জামানের সঙ্গে পাবনার চাটমোহরের মির্জাপুর গ্রামের সিকেন্দার আলীর মেয়ে সুন্দরী খাতুনের বিয়ে হয়। কয়েক বছর আগে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। প্রথম সন্তান কন্যা হওয়ায় পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। ছেলে সন্তানের আশা থাকলেও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাদের দ্বিতীয় সন্তানও মেয়ে হয়। এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি আরও বেড়ে যায়। এ নিয়ে বদিউজ্জামান প্রায়শঃই স্ত্রীকে মারপিট করতেন ও শিশু সুমাইয়াকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে শিশু সুমাইয়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে বদিউজ্জামান পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি বদিউজ্জামানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ